কোটা সংস্কারে সমর্থনকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তবে নাম প্রকাশ না করেই দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার থানার পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস বাদী হয়ে রাজধানীর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই দিন ঢাকার সিটি ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ করেন এবং প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা শ্মশান আদালতের প্রধান ফটকের সামনে মুচির রাস্তায় অবৈধভাবে জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পথচারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে তাণ্ডব চালায়। এবং তাদের উপর গুলি, তারা রক্তাক্ত ক্ষত ছিল. এসময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ করে। আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৪২৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার ত্রয়োদশ শ্রেণির ছাত্র রাকিব বলেন, একটা যুগ উল্টে গেছে। সত্য মিথ্যায় পরিণত হয় এবং মিথ্যা সত্যে পরিণত হয়। আমার ভাইবোনেরা যৌক্তিক গতিতে গুলি করেছিল। এ ঘটনায় আমরা শিক্ষার্থীরা মামলা করি। এ ঘটনা জাতি দেখেছে। কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা।
এদিকে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লাখ লাখ লাঠিসোঁটা নিয়ে রায় সাহেব বাজার অতিক্রম করলে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ও হামলা চালানো হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কবি নজরুল গুরুতর আহত হন।
শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৭তম বর্ষের ছাত্র অনিক, ম্যানেজমেন্টের ১৬তম বর্ষের ছাত্র ফেরদৌস জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অনুষদের ১৬তম বর্ষের ছাত্র। এইচ.এম. নাসিম এবং ১৮ – পদার্থবিদ্যা অনুষদের ছাত্র। মেহেদী হাসান প্রভা ও কাভি হাসিব নজরুল কলেজের ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র।