কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে অনুপ্রবেশের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্ল্যান্টের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটি ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালক আবুদুজা এটিএম বলেছেন: অবিরাম বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল ৯টা পর্যন্ত কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৬৪ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। মঙ্গলবারে।
এর মধ্যে মোট ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, ১ ও ২ ব্লকে ৪২ থেকে ৮৪ মেগাওয়াট এবং ৪ ও ৫ ব্লকে ৪০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট। এ বছর কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এটাই সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন। তিনি বলেন, পানির পরিমাণ আরও বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন: ব্লক ৩ বর্তমানে বন্ধ আছে।
এদিকে, কর্ণপুরীতে হাইড্রোপাওয়ার কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীরা মঙ্গলবার জানান, বছরের এই সময়ে কাপ্তাই লেকের পানির স্তর রেগুলেশন কার্ভ অনুযায়ী ৮৪.১৬ ফুট এমএসএল হওয়া উচিত। নিয়মিত বক্ররেখার ভিত্তিতে কাপ্তাই হ্রদের জলস্তর গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৩.৬৯ ফুট উপরে। সাম্প্রতিক দিনে এটাই সর্বোচ্চ জলস্তর। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানি সঞ্চয় ক্ষমতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০৯ ফুট উপরে।
এটি উল্লেখযোগ্য যে রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এর পাঁচটি ইউনিট সহ মোট ২৩০-২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। তবে কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হ্রদের পানির স্তর না নামাতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন বাসিন্দারা। পানির স্তর বৃদ্ধি সত্ত্বেও পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিংয়ের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পলি জমার কারণে এটি হয়েছে। এ কারণে ড্রেজিং জরুরি বলে মনে করেন বাসিন্দারা।