শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এত গণিত ও বিজ্ঞান শেখানো উচিত নয় যে তারা শেখার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে।
রাজধানীর সেগুনবাগিক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষা ড. দিনের মধ্যে।
শিক্ষামন্ত্রী নিউফেল বলেছেন: “বিশেষ জ্ঞান অবশ্যই উচ্চ শিক্ষার স্তরে আনতে হবে।” যাইহোক, দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্যবস্থা রয়েছে যা অনুসারে স্কুলগুলিতে বিশেষ জ্ঞান শেখানো হয়। আর উচ্চশিক্ষায় প্রথাগত শিক্ষা প্রবর্তিত হয়। এই অবস্থা বদলাতে হবে। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ জ্ঞান স্থানান্তর করতে হবে। “14 বছর বয়সের মধ্যে, আমাদের শিক্ষার্থীদের এতটা গণিত এবং বিজ্ঞান শেখানো উচিত নয় যে তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে।”
তিনি বলেন, “পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞান শিক্ষার্থী এসএসসির পর বিজ্ঞান পড়তে উৎসাহিত হয় না। “সুতরাং আমাদের বিজ্ঞান এবং গণিতের কিছু স্তর শিখতে হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মানসিক রূপান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তথ্যকে জ্ঞানে রূপান্তরিত করা এবং জ্ঞানকে দক্ষতায় রূপান্তর করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষার্থী আজ যা শিখছে ভবিষ্যতে তার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা অন্বেষণ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে একটি পাঠ্যক্রমে রূপান্তরিত করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে যাতে শিক্ষার্থীরা তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে। তাত্ত্বিক জ্ঞানের ব্যবহারিক দিক প্রদানের মাধ্যমে, শেখা মজাদার হয়ে ওঠে। এজন্য কারিকুলাম নতুন করে সাজানোর চেষ্টা চলছে। শিক্ষকদেরও এভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এবং প্রকৌশল ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
এ উপলক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ খালেদ রহিম। আলোচনা শেষে শিক্ষামন্ত্রী বিজয়ীদের কোট অব আর্মস, মেডেল ও সনদপত্র তুলে দেন।