পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নারী ও শিশুসহ ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঢুকে ফেলে দিয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে এবং শনিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানায় বিএসএফ পাঁচজনকে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যায়। ভোর ৩টার দিকে চাকলাহাট ইউনিয়নের সিংরোড সীমান্তে আরও ১০ জনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
গত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দুটি সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি নারী ও শিশুসহ ১৫ জনকে আটক করে।
পরে তাদের পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটকদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন মহিলা এবং পাঁচজন শিশু রয়েছে। জানা গেছে যে তারা মূলত খুলনা, বাগেরহাট, যশোর এবং নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, অমরখানা সীমান্তে প্রধান পিলার ৭৪৩ এর সাব-পিলার ৩ থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্প থেকে তাদের ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, সিংরোড সীমান্তে প্রধান পিলার ৭৬৪ এর সাব-পিলার ১৯ এর কাছে খুনিয়াপাড়া এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যরা ১০ জনকে আটক করেছে। ভারতের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ ক্যাম্প থেকে তাদের ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছে যে তারা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছে, বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। সম্প্রতি, মুম্বাই সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করেছে। পরে, বিমান ও বাসে করে সীমান্ত এলাকায় এনে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, আটকরা প্রাথমিকভাবে নিজেদের বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিয়েছে।
তাদের পরিচয় এবং নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে, এই বছরের ১৬ মে থেকে ২৫ জুনের মধ্যে, বিএসএফ পঞ্চগড় সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আরও ৯৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে।