নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্বের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিশাল যুব সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে খসরু ঘোষণা করেন যে, গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের দাবিতে তরুণ প্রজন্ম আজ সুনামির মতো উত্তাল হয়ে উঠেছে। সংস্কারের নামে নির্বাচনী রোডম্যাপ বিলম্বিত করার কোনও সুযোগ নেই। ‘বিচারিক প্রক্রিয়া’র কোনও অজুহাত নির্বাচনে দীর্ঘসূত্রিতাকে ন্যায্যতা দিতে পারে না।
সংস্কারের প্রতি বিএনপির দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার তুলে ধরে খসরু দর্শকদের মনে করিয়ে দেন যে, বিএনপির আগে কেউ সংস্কারের কথা বলেননি। সাত বছর আগে খালেদা জিয়া জাতির সামনে ভিশন ২০৩০ উপস্থাপন করেছিলেন। দুই বছর আগে তারেক রহমান ২৭ দফা সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন।
রাজনৈতিক দলগুলির সাথে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপের ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করে খসরু বলেন, এখন বলা হচ্ছে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি। যদি তাই হয়, তাহলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার এই সংস্কারগুলি বাস্তবায়ন করবে।
ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তিনি ঘোষণা করেন, যদি ন্যায়বিচার অসম্পূর্ণ থাকে, তাহলে বিএনপিই তা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ আমাদের মতো কেউ কষ্ট করেনি। আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছি, কেউ তা করেনি। ৫ আগস্ট না ঘটলে, এখন ক্ষমতায় থাকা অনেকেই হয়তো বিদেশে থাকতেন। আর আমরা কারাগারে অথবা ফাঁসির মঞ্চে থাকতাম। তাই যদি বিচার অসম্পূর্ণ থাকে, তাহলে বিএনপি এটি শেষ করবে। এখন ক্ষমতায় থাকাদের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই।
রাজনৈতিক অধিকারের জন্য যুব সমাবেশ শিরোনামে এই সমাবেশটি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দল দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল।
যুবসমাজকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করার জন্য, বিএনপির তিন শাখা মে মাসে মাসব্যাপী এক ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে চারটি প্রধান বিভাগে আট দিনের সেমিনার এবং সমাবেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বগুড়ায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।




















































