হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নয়জন হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গণেশ দাসকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গণেশ দাস বানিয়াচং জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হিলালনগর গ্রামের গৌর সুন্দর দাসের ছেলে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই. বানিয়াচং থানার জাহাঙ্গীর আলম তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৯ হত্যা মামলায় গণেশ দাস ১৫২ নম্বর আসামি।শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মার্কুলী বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২২ ডিসেম্বর) তাকে হবিগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট সকাল ১১টায় ছাত্র-জনতা সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিল শুরু করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার পরিদর্শন শেষে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় মিছিল করলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে আন্দোলনকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের গুলিতে চারজনসহ সাতজন নিহত হন।
সাংবাদিক ভিডিও রেকর্ড করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। মোট মৃতের সংখ্যা আট। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, পাশাপাশি এসআই হত্যা মামলায় পুলিশ ও নিহতের বাবার তরফে মোট তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।