নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার বরাত দিয়ে এএফপি সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বিহার, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.১ বলে জানিয়েছে। সিনহুয়া রিপোর্টার আরও জানিয়েছে যে সকাল ১০টার দিকে “বেশ কয়েকটি কম্পন” রেকর্ড করা হয়েছে। সবচেয়ে শক্তিশালী আফটার শকের মাত্রা ছিল ৪.৪।
নেপাল একটি ভূমিকম্পগতভাবে সক্রিয় অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে হিমালয় পর্বতমালা তৈরি হয়েছিল। এ কারণে এ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। ২০১৫ সালে, নেপালে একটি শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২২,০০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। ভূমিকম্পে অর্ধ মিলিয়ন ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি ঘটে। প্রথম ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরে, আরও দুটি ভূমিকম্প এই অঞ্চলে কেঁপে ওঠে।