আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলের নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বাসায় বর্ধিত চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন। অবাধে এমন চিকিৎসা নিতে পেরে অপরাধ করে গর্বিত হওয়ার নজির নেই। তবে সংবিধান ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া লঙ্ঘন না করে একজন গর্বিত ব্যক্তির মুক্তি দাবি করা সাহসিকতার কিছু কম নয়।
রোববার (৩০ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের অজুহাতে বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণ বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি এখন ব্যর্থ রাজনৈতিক দল। তাদের তথাকথিত আন্দোলনের বিষয়বস্তু এখন অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দুর্নীতির শোকে। খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তার বাসভবনের দেশের সবচেয়ে আধুনিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। সেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তার গভীর চিকিৎসার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করেন, অপরাধের সম্মুখীন হওয়া ব্যক্তি এভাবে অবাধে চিকিৎসা নিতে পারার নজির নেই। বিএনপি কয়েক বছর ধরে কোনো আইনি প্রক্রিয়া শুরু না করে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে আসছে। এমনকি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব ছড়ানো মানুষকে উস্কে দেয়। জনগণের আনুকূল্য জয়ের চেষ্টা করে, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের কাছে সবাই সমান। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সংবিধান ও বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে একজন প্রশংসনীয় ব্যক্তির মুক্তির আহ্বান নির্বোধতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন কোন শর্ত নেই যা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই একজন গর্বিত ব্যক্তিকে দেশ ত্যাগ করতে দেয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে রায় বিলম্বিত করেছেন এবং খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন। আইনি পথে না গিয়ে এবং সুপ্রিম কোর্টে না গিয়ে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএনপি। প্রথাগতভাবে বিএনপি কখনোই আইনের শাসনে বিশ্বাস করেনি এবং ঐতিহ্যগতভাবে আইন, বিচার, সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা ছিল না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সংবিধান ও আইনের শাসন রক্ষায় বদ্ধপরিকর। কোনো গণতান্ত্রিক সরকার অবৈধ, অযৌক্তিক ও অযৌক্তিক দাবি মেনে নিতে পারে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতীতের মতো আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির যে কোনো ষড়যন্ত্র সম্মিলিতভাবে রুখে দেবে।