দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার উৎখাতের এক দফা আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হবে।
রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী আলোচনা হচ্ছে। সীমান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পড়ে আছে। বিভিন্ন কারণে আমরা এক দফা দাবি নিয়ে যে সংগ্রাম শুরু করেছিলাম, তা বাস্তবায়ন ছাড়া সংকটের সমাধান হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর এ লড়াই অব্যাহত রাখতে আগামী দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করব। কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা হয়। দেশের বর্তমান সংকট গণতন্ত্রের অভাবের সংকট। দেশ আজ দুর্নীতি ও অনাচারে ভুগছে। এটা স্পষ্ট যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দেশে দুর্নীতি করছে। ব্যাংক খালি এবং অর্থ মূল্যহীন। কাঁচামালের দাম বাড়ায় মানুষ ক্লান্ত।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল কোটা সংস্কার। এই দাবিকে সমর্থন করেছে বিএনপি। এই দাবিতে এখন আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন, তখন তাদের অবশ্যই বলতে হবে যে তারা কখনই আবেগ বা বিরক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন না। কিন্তু আমরা দেখেছি যে, জনসমক্ষে বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি তা বাতিল করেছি। তখন কেউ এটাকে স্মার্ট মনে করেনি; এটা বেশীরভাগই ক্ষোভের বাইরে করা হয়েছিল।
জনাব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় হিজবের চেয়ারম্যান, 12-দলীয় জোটের সমন্বয়ক, জনাব শাহাদাত হুসেইন সেলিম, বিএলডিপির জনাব সৈয়দ এহসান আল-হাদী, জাগপালের জনাব রশিদ প্রধান, জমিয়ত উলামার মুফতি। -ই-ইসলাম – জনাব মহিউদ্দিন ইকরাম, ওকিয়াজোট ইসলামীর মাওলানা আব্দুল করিম এবং… সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালিমা রেহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
গত তিন দিনে বিএনপি নেতারা যৌথ আন্দোলন, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক বাম, জাতীয়তাবাদী সমনা জুট, এনডিএ, গণ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন অংশের সদস্যদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।