যশোরের কাউয়াগাছা সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যে কোনো সময় গুলি চালাতে পারে বা না করতে পারে বলে সতর্ক করতে মাইক্রোফোনে ছবি তোলা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ৪৯ বিজিবি মোতাবেক বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান দৌলতপুর, কুলিয়া, আন্দুলিয়া ও আরসিংড়ি পুকুরিয়াসহ ৪৯ বিজিবির আওতাধীন এলাকায় সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনের সতর্কতামূলক ওয়্যারটেপিং করেন। মাইক্রোফোনে বলা হয়েছে বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তের কাছে বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে গুলি করতে পারে। এ কারণে বাংলাদেশিদের কঠোরভাবে সীমান্ত এলাকায় না যেতে বলা হয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন মোড়ে ও জনাকীর্ণ এলাকায় বিজিবি সদস্যরা মৌখিকভাবে এবং মাইক্রোফোনের মাধ্যমে লোকজনকে সতর্ক করে।
10 জুনের শেষের দিকে, মহেশপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় সীমান্তে দুর্বৃত্তরা এক বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করেছে বলে জানা গেছে। বিএসএফ জানিয়েছে, এই কাজটি করেছে বাংলাদেশ থেকে আসা হামলাকারীরা। বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন কারণ বিএসএফ পাল্টা হামলা চালাতে পারে।
সীমান্তবর্তী আন্দুলিয়া, কুলিয়া ও দৌলতপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সীমান্ত এলাকায় চলাচল না করতে বলেছে। সীমান্ত এড়াতে তারা প্রতিটি কোণায় মাইক্রোফোন স্থাপন করেছে। চুগাছ সীমান্তে অঘোষিত রেড অ্যালার্ট রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সুখুপকোরিয়া ইউনিয়নের সভাপতি বীর মক্তিজুদা হাবিব রহমান জানান, ইন্দোলিয়া কোম্পানির কমান্ডার সুবদার আব্দুল গনি ইউনিয়ন বিভাগের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশকে খবর দেন। গরু-ছাগল সীমান্ত লাইনের আশেপাশে না গিয়ে কৃষিকাজে কাজ করে। তারপর আপনাকে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে সর্বজনীনভাবে কথা বলতে বলা হবে।
৪৯ বিজিবি স্কোয়াড্রন ইন্দোলিয়া জেসুরের অধিনায়ক সুবদার আব্দুল গণি জানান, ঈদের ঘোরবানির কারণে সীমান্তবর্তী লোকজনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এদিকে মহেশপুর সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে বিএসএফ সদস্যদের কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছে বিএসএফ। তাই আমি আমার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সীমান্ত এলাকা রক্ষা করতে বলেছি এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশে বাধা দিতে বলেছি। নক্ষত্রের কাছে যাওয়াও নিষেধ।





















































