যুবলীগ দেশব্যাপী সফলভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে। শুক্রবার বিকেলে মোগাদিসুর মান্দায় গ্রিন মডেল সিটিতে যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজল শামস পরেশের সভাপতিত্বে ও উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যুব ফেডারেশনের মহাসচিব মইন আল হোসেন খান নিকিল, সংসদ সদস্য।
যুবলীগ বোর্ড সদস্য, মেরিনাল কাউন্টি, জোদার, ইঞ্জি., তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, মেরিল্যান্ড; রফিকুল আলম জোয়ার্দ্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরউদ্দিন হেছার, ঢাকা মহানগর যুব ফেডারেশনের উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বাবর, দক্ষিণ সহ-সভাপতি মিনুদ্দিন রানা, উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জনাব রেজা করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব রেজা করিম রেজা প্রমুখ। , পরিচালক জনাব জয়দেব নন্দী, পরিবেশমন্ত্রী হারিছ মীর শেখ সাগর, উপমন্ত্রী এমডি দেলোয়ার হোসেন শাহজাদ প্রমুখ।
উদ্বোধনী ও সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজল শামস পলাশ বলেন, আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে আমি সারাদেশের যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। লবণ বর্জ্যের উপর নির্বিচারে গাছ লাগাবেন না। গাছেরও মনোযোগ প্রয়োজন। এটি এমন জায়গায় রাখবেন না যেখানে লোকেরা এটি সরাতে পারে। পরের দিন, লোকেরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং জোর করে গাছটি সরিয়ে দেয়। আমাদের শুধু গাছ লাগাতে হবে না, বাঁচাতে হবে। এই জমি আমাদের। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করতে আজ সবুজ বাংলাকে আরও সবুজ হতে হবে। বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বনভূমির পরিমাণ ২৫%-এ উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জনগণকে শিক্ষিত করে এই লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সাহায্য করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ প্রমাণ করেছেন যে আমরা দেশকে শুধু স্বাধীনই করিনি, সমৃদ্ধির পথেও নিয়ে গিয়েছি। আজ সারা বিশ্বের নেতারা আমাদের নেতাকে সম্মান ও সম্মান করে। আপনারা জানেন- গত ৫ জুন দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সকল সংগঠন সারা বাংলাদেশে গাছ লাগাবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বলছেন এটা মানবিক কর্মসূচি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত সমস্যাকে আমরা বাংলাদেশের জন্য অস্তিত্ব সংকট হিসেবে দেখছি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়ায় বাংলাদেশের অনেকাংশ পানির নিচে চলে যাবে। প্রতিদিনই নদী ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ঢাকা শহরে আসেন। এক পর্যায়ে আমরা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকির সম্মুখীন হব। এসব পরিবেশ বিপর্যয় রোধে প্রয়োজন বেশি করে গাছ লাগানো এবং পাহাড় রক্ষা করা। আর এ দায়িত্ব যুবলীগকেই নিতে হবে।