ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা পানির প্রবাহ দেশের প্রধান নদীগুলোর পানির স্তর বাড়িয়ে দেয়, যেগুলো বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, পাঁচটি নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে, ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিডব্লিউডিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদী রেহান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির উচ্চতা সাধারণত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বের সিলেট, সোনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে, মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উচ্চভূমিতে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে সমতল ভূমিতে তিস্তা, দেহারা ও দুডোকুমার নদীর জলস্তর বাড়বে এবং অদূরবর্তী সময়ে কিছু জায়গায় বন্যার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীর জলের স্তরও বাড়ছে এবং এটি আগামী ৭২ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে, জল সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক করেছে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির উচ্চতাও বাড়ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টা বাড়তে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে কোনো কোনো স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুখরি, ফেনী, খালদা, সাঙ্গু ও মাতামুখুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলের কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে, বিশেষ করে অগভীর আবহাওয়ায়।
পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, সুরমার পানি কানিঘাট ও সুনামগঞ্জ; অমলশীদ, শেওল, শেরপুর সিলেট ও মারকুলিতে কুশিয়ারের পানি; মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি; সোমেশ্বরী থেকে জল বিপৎসীমা হয়ে কলমাকান্দ এবং নাকুগাঁও থেকে ভূগাই পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। ফলে পাঁচ জেলার (সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, নেত্রকোনা ও শেরপুর) নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।