পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম আবারও বাড়ছে। গত মাসে পেঁয়াজের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা
রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেড কোম্পানি বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০টাকা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। গত বছরের জুনে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.৪২ শতাংশ।
বাজারে কাঁচা মরিচের দামও অনেক বেশি। বিক্রেতারা জানান, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে প্রচণ্ড গরমে মরিচের চারা মারা যায়। এতে স্থানীয়ভাবে সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি। গত দুই সপ্তাহে উন্নতমানের তাজা মরিচ প্রতি কেজি ২২০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, আলুর দামও প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে আলুর সাধারণ দাম কেজিপ্রতি ৬০-৬৫ টাকা। এ পণ্যের দাম বেড়েছে ৭০ টাকা।
জানা গেছে, প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০টাকা । এদিকে বাজার ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা । দশ দিন আগে দাম ছিল ৬০-৮০ টাকা। কাকরোলের দাম প্রতি কেজি ৩০ বেড়ে ১০০ হয়েছে, আর তিক্ত তরমুজের দাম ৩০ বেড়ে ৫০ এবং ১২০ থেকে ১৪০ হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজ, টমেটো ও গাজরের দাম ২০ থেকে বেড়েছে। ৪০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ এবং বর্ষার বন্যাকে দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ঋতুর শেষ আর শীতের শুরুর কথা অনেকেই বলে থাকেন। ব্যক্তিগতভাবে, তারা আলুর দামে অতি প্রয়োজনীয় বৃদ্ধি প্রদান করছে।