ঈদুল আজহা উপলক্ষে খাগড়াছড়ি অঞ্চলের পুলিশ কমান্ডার খাগড়াছড়ির পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন কোরবানির পশুর বাজার পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে পশুর ঘেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর ঘেরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। সোমবার (১০ জুন) পুলিশ প্রধান ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন।
কোরবানি উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার টেপাহাইয়ে কোরবানির পশু নিয়ে বেশ কয়েকটি বাজার জমেছে। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, চুরি রোধ, জাল টাকার ব্যবহার রোধ, মারমার পার্টির অনিষ্ট থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষা এবং এসব মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে। এ পরিদর্শনে তিনি পশুর হাটের ভাড়াটিয়া, ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তিনি পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ভাড়াটেদের সাথে ডিল করার বিষয়েও অনুগ্রহ করে জিজ্ঞাসা করুন। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই জিজ্ঞাসা করে যে একটি শেয়ার প্রদেয় কিনা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন: কোরবানির পশু হাটে বিক্রি বা আনার সময় যে কোনো চাঁদাবাজি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ সময় তিনি পেশতের থানায় বসানো জাল কারেন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করে জাল নোট চেক করার জন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানান।
পুলিশ প্রধান ভাড়াটিয়া, ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাদের বলেছেন, কেউ যদি বাজারে বিক্রির টাকা পহলা পুলিশের কাছে পৌঁছে দিতে চান, তাহলে জেলা পুলিশ তা নিরাপদে আপনার বাড়ি বা গন্তব্যে পৌঁছে দেবে, সে অনুযায়ী জেলা পুলিশ পহলা বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। হাটের আইন, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত।
নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ পুলিশ টিমের পাশাপাশি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জাল শনাক্তকারী কাউন্টার এবং সকল কোরবানির পশুর বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্লেইন পোশাকের পুলিশ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়লে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।