কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ‘সেভ বাংলাদেশ’ বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ রেসকিউ গ্রুপ বুধবার বিকেলে (স্থানীয় সময় ৩১ জুলাই) একটি বিক্ষোভের ডাক দেয়, যাতে নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিএনপি নেতা-কর্মীরা যোগ দেয়। এই বৈঠক শেষে বাংলাদেশ রেসকিউ অর্গানাইজেশনের নেতারা জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে একটি নোটও তুলে দেন।
সেভ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সমন্বয়ক ড. নিউইয়র্কে মাসুদুর রহমান, সভাপতি জাহিদ খান, সমন্বয়ক সৈয়দ উল আমিন রাসেল প্রমুখ। বক্তা ছিলেন তোহিন আনোয়ার, ইমরান আনসারি, রোশান হক, রবি সাঈদ এবং কানা ক্যামেরন। সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করেন সংগীত শিল্পী বিপ্লব।
বিক্ষোভের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাতিসংঘ ভবনে মহাসচিবের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন সংগঠনটির প্রধান জাহিদ খান ও এর অন্যতম সমন্বয়ক সাঈদ আল আমিন রাসেল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার যুক্তির পরিবর্তে বল প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের কাজের দায়িত্ব সংস্কারের আইন প্রণয়ন আন্দোলনকে ব্যর্থ করার প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন এলাকায় অগণিত শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়। আজ এদেশের সচেতন ও দেশপ্রেমিক জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা অহংকারী শাসকদের অত্যাচার ও দুঃশাসন দূর করতে চায়।
বক্তারা বলেন, যে সরকার আমাদের সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তারা এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বা বিচার করছে না- জনগণ চায় এই সরকারের বিদায় হোক।
বিএনপি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে সমর্থন করে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানায়। কিন্তু সরকার নিজেই বহু শহীদের রক্ত দিয়ে সমঝোতার পথ রুদ্ধ করে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর এখন ব্যর্থতা ও খুনের কারণে পদত্যাগ করা ছাড়া উপায় নেই।
স্বদেশীরা তাদের সন্তানদের প্রতি কর্তৃপক্ষের নিষ্ঠুরতা এবং রক্তপাত দেখতে চায় না। চলমান সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার অবসানে তারা সরকারের পদত্যাগ চান। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ফিরে যেতে চায়। আমরা জনগণের দাবিতে যোগ দিই। চলমান গণআন্দোলনকে বেগবান করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন রাজ্যের শত শত নেতাকর্মী বিক্ষোভে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন।