কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এফএমসিজি বাজারের নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখতে চট্টগ্রামে প্রচারণা চালিয়েছে
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নগরীর বহদ্দারহাট পণ্য বাজারে ক্যাম্পেইন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ক্যাব ও ক্যাব ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা।
ট্যাক্সি চালকরা উদ্যোক্তাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেছেন যাতে অসাধু ও স্বার্থপর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত মুনাফা এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে কারসাজি না করে।
বাজার নির্বাচনী ইশতেহারে বক্তব্য রাখেন ক্যাব ইয়ুথ গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস.এম. নাজের হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, সভাপতি চান্দগাঁও থানা মোহাম্মদ জৈন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান, ক্যাব ইয়ুথ গ্রুপ রাসেল উদ্দিন, তানিয়া সুলতানা, এমদাদুল ইসলাম, মুহাম্মদ ওমর ফারুব, মোহাম্মদ করিমুল ইসলাম, নাফিসা নবী, ইসমত জাহান প্রমুখ। , আনাফ সুলেমান, আবু সাইদ মো. নোমান, নাসির উদ্দিন ও রিদওয়ানুল হক হৃদয়।
নেতারা বলেন, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবন অস্থির করে তুলছে। আর সরকার প্রধানের লোকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের নানা সুবিধা নিয়ে নীরব থেকেছেন এবং অনেক জায়গায় ব্যবসায়ীদের কণ্ঠে কথা বলেছেন। এখানেও ব্যবসায়ীরা আমদানীকারক ও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে চড়া দামে পণ্য ক্রয় করে এবং ব্যবসা করার উচ্চ মূল্য দাবী করে জনগণের পকেট কাটতে চাঁদাবাজি করে। আবার অনেক জায়গায় ভোক্তা সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজার নজরদারিতে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, 15 বছর ধরে ভোগ্যপণ্য ও ওষুধের বাজারে ভোক্তাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে বিগত সরকারের কিছু সুবিধা নিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট করে সারাদেশের মানুষের পকেট কেটে দেশের ভেতরে ও বাইরে পাচার করে।
সিএবি নেতারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে চাল, আলু, সবুজ মরিচ, পেঁয়াজ এবং শাকসবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দুর্বল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের নম্রতার কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। আর যারা যাচাই-বাছাই করে তারা সেগুলো দেখেননি এবং কোনো অভিযোগও পাননি, তাই ব্যবসায়ীরা বেপরোয়াভাবে নানা অজুহাতে তথ্য প্রচার করে গ্রাহকদের পকেট কাটছে।