বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। গত ৮ জুলাই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ডাক্তার বলেছেন তার অবস্থা “উদ্বেগজনক”।
পেসমেকার দিয়ে তাকে বাড়িতে আনার ছয় দিন পর চার দিন আগে তাকে আবারও জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গত চার দিনে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার হার্ট, লিভার এবং অন্যান্য শারীরিক প্যারামিটার সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে নানাভাবে চিকিৎসা দিতে থাকেন। বিএনপির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রফিকুল ইসলাম নয়া দিগন্ত পত্রিকাকে বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। যতবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তা খুবই উদ্বেগজনক। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হয়।
মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের এক চিকিৎসক জানান, দেশে বেগম জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না। যে কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিদেশী ডাক্তারদের সাথে মিস এর লিভার সিরোসিস সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে বেশ কয়েক দিন আগে তিনি সুস্থ ছিলেন। কিন্তু এখন প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। প্রতিটি শারীরিক পরামিতি খারাপ হয়। গতকাল রাতে আরেক চিকিৎসক জানান, বেগম জিয়ার লিভারের জটিলতা বেড়েছে।
গত ৮ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার জীবন আশঙ্কাজনক। সরকার তাকে আটক করে এবং ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী হার্ট, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বাত ও ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
গত ২২ জুন গুলশানে নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বেগম খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তার হার্টে পেসমেকার বসানো হয়। দুই দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকার পর মেডিকেল বোর্ড তাকে আরও কয়েকদিন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের সব যন্ত্রপাতিসহ একটি কক্ষে রাখে। এরপর গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ফিরোজা, গুলশান হাউসে ফেরেন বিএনপি চেয়ারম্যান।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে লিভারের অস্ত্রোপচারের জন্য আমেরিকা থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছিল।
মেডিকেল কমিশন বারবার বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করলেও সরকার তাকে সুযোগ দেয়নি। সরকার এ ব্যাপারে আইনি বাধ্যবাধকতা খতিয়ে দেখছে।





















































