জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা সরকারি পদে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আজ (১ জুলাই) সোমবার সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র শহীদ মানার সামনে জড়ো হয়ে শহীদ মানার থেকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) পর্যন্ত যায়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহেদল ইসলাম ইমন বলেন, যারা আজ কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেননি তাদের বিকল্প থাকতে পারে, তবে তারা আগামী প্রজন্মের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা ছাত্র অধিকার আন্দোলনের অংশ হতে পারি না কারণ আমরা কাপুরুষ ছিলাম। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া সংগঠনের জন্য কোটা রয়েছে।
কিন্তু এই পিছিয়ে পড়া দেশ কি একজন মুক্তিযোদ্ধার নাতি? নাকি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান?
মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণের জন্য ঢাকা-আরিশা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিশা মহাসড়ক অবরোধের হুমকি দিয়ে বলেন, আমাদের দাবি না মানলে ঢাকা-আরিশা মহাসড়ক স্থায়ীভাবে অবরোধের পরিকল্পনা পেশ করা হবে। একটি গাড়িও চলাচল করতে পারছে না।
এ সময় শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি জানান।
তাদের দাবি 2018 সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাতন্ত্র বজায় রাখা। সার্কুলার নং অনুযায়ী ১৮ কমিটি গঠন করে, যত দ্রুত সম্ভব সরকারি চাকরিতে (সকল শ্রেণির) অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে এবং শুধু পিছিয়ে পড়া ও অনগ্রসর শ্রেণির সঙ্গে সংবিধান অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে মেধার ভিত্তিতে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। দুর্নীতিমুক্ত, সুষ্ঠু ও মেধাবী আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।