জামায়াতে ইসলামী নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাওদেরের বক্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কর্মকর্তা অধ্যাপক মীর গুলাম পালওয়াল।
মঙ্গলবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাওয়াদেরের কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্যের সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক। এটি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশোধমূলক, অযৌক্তিক এবং অসম্মানজনক। আমি তার কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি জামায়াত-ই-ইসলাম সম্পর্কে ওবায়েদ আল-কাওয়াদেরের মিথ্যা বক্তব্যকে স্বাধীনতাবিরোধী এবং সম্মিলিত শক্তি হিসাবে মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কমরেড হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তা সকল দেশবাসী জানে। ১৯৮৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর থেকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আন্দোলনে জামায়াত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ওবায়দুল কাদের, ১৫টি দল, ৭টি দল ও জামায়াতে ইসলামী বলেছেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই ইস্যুতে বিক্ষোভ করছিল।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতের আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং জামায়াত সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেন। এতে ওবায়দুল কাদের অসন্তুষ্ট হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দিয়ে তার রাজনৈতিক সমর্থকদের খুশি করার চেষ্টা করেন। তার নিজের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ ভালো করেই জানে, কারা বিভিন্ন ধর্মের জমি, বাড়িঘর ও উপাসনালয় দখল করে আছে এবং কারা তাদের সম্মান ও সম্পদ হরণ করছে। আর এসব নৃশংসতার সাথে জড়িতরা জনশান্তি বিনষ্টের জন্য তাদের দায়ী করে। তাই এ ধরনের নিষ্ঠুর বক্তব্যে মানুষকে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়।
আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জামায়াতের মর্যাদাকে সম্মান জানিয়ে আপত্তিকর ও নেতিবাচক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।