ঈদুল আযহার পর প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। তারা জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় ফিরে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে মহাকালী বাস স্টেশনে গেলে দেখা যাবে, জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যারা ঢাকায় আসেন তাদের বেশির ভাগই বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। তবে বিশেষ ছুটি নেওয়া অনেকেই পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন। এতে যাত্রীদের ঢাকাগামী যানবাহনে ফেরার ভার বাড়ে। এ ছাড়া এখনো গ্রাম পরিষদে অনেকেই যান। তবে এই সংখ্যা খুব বেশি নয়।
মোহাম্মদ রাশেদ ময়মনসিংহের বাসিন্দা। তিনি ঢাকা পলিটেকনিকে শিক্ষকতা করতেন। রাশেদ জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ঈদের ছুটি চলবে। কিন্তু এক বন্ধুর বিয়ের কারণে ছুটি একদিন বাড়িয়ে আজ ঢাকায় ফিরেছি। আমি আজ থেকে অফিস নেব।
ময়মনসিংহ রুটের এনা পরিবহনের টিকিট মাস্টার মোঃ শহিদুল জানান, বুধবার সকাল থেকে আবারও ঢাকায় মানুষ আসতে শুরু করেছে। আজও মানুষ আসে। যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। শুক্রবার থেকে মূল ছাপা শুরু হবে। সকালে রাস্তা পরিষ্কার থাকায় বাস সহজেই ঢাকায় পৌঁছানো যায়।
বাস স্টেশনে দেখা যায়, ময়মনসিংহ, হালুয়াঘাট, নেত্রকোনা, জামালপুর, বগুড়া ও নওগাঁ জেলার বাসগুলো পূর্ণ আসনসহ যাত্রীদের ঢাকায় পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু ঢাকা থেকে যেসব বাস এসব এলাকায় যায় সেগুলো এই অর্থে যাত্রী বহন করে না। তবে যাত্রী হিসেবে যারা আরোহণ করেছিলেন তাদের অধিকাংশই ঈদুল আজহার জন্য বাড়ি যেতে পারেননি। এ কারণে তারা এখন ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন।
ময়মনসিংহে সুহিন পরিবহনের কাউন্টারে বসতে রাজীবের আধা ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করি। ঈদের ছুটি নিশ্চিত করতে পারিনি। এখন ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। তারা বাস থেকে নামতে পারে না কারণ তারা কম যাত্রী দেখে। দেখা যাক কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
ফতেহ আলী থেকে নওগাঁগামী বাসের অপেক্ষায় থাকা সুলতানা রাজিয়া জানান, ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন না। পারিবারিক কারণে এখন আমাকে দেশে ফিরতে হবে। অনেকক্ষণ ধরে কাউন্টারে বসে আছি। যাত্রী না থাকায় বাস ছাড়ছে না।