জুয়া ব্যবসায় অংশগ্রহণকারী দশজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা এই জুয়াড়িরা অবৈধভাবে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা চুরি করেছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান তারেক ফয়সাল বিন আজিজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার: তালা উপজেলার সুজন শাহ গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ রানা (৪০), উতলী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাইদুর রহমান (২৮), নলতা গাজী দক্ষিণ গ্রামের মৃত শহিদুর রহমান (৪০)। , ডাঙ্গা নলতা গ্রামের শেখ ফজর রহমান মো. শাহাদাত হোসেন (28 বছর), মধ্য পারুলিয়া দেবহাটা উপজেলার মাইনুদ্দিন মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০ বছর), পদ্মপুকুর শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে আনিচুর সরদার (৩১ বছর), কামাল। হোসেন (৩০ বছর), পাখিমারা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে, একই গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার জেহের আলীর ছেলে জিনারুল ইসলাম (২৫ বছর), ওই গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৯ বছর)। আশাশুনি জেলার বল্লবপুর গ্রামের হুটিকাটা ও মুকুল হোসেন (৩২ বছর) মো
সংগঠিত অপরাধ সিন্ডিকেট নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া সাইট পরিচালনা করে, তিনি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন। অনলাইন নজরদারি এবং গোপনীয় বার্তার মাধ্যমে জেলা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। এক পর্যায়ে জেলা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে খেলোয়াড়দের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয় এবং শুক্রবার জেলার শ্যামনগর, আশেনী, দেওয়াতা ও তারা উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ১৬টি স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি এটি জানা গেছে যে গ্যাং লোকেদের প্রতারণা করার জন্য বিভিন্ন আমন্ত্রণ দিয়ে অনলাইন জুয়ায় প্রলুব্ধ করে। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে ক্যাসিনোতে খেলতে এবং অনলাইন জুয়া সাইটে বাজি ধরতে (লিংক https://1xbetbd.mobi/en)। আর এই চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ, বিকাশ, র্যাকেট) ব্যবহার করে অবৈধ ইলেকট্রনিক ও নগদ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইন নজরদারি ও গোপন তথ্যের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলায় একদল প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশেনী, দেবতা ও তারাটানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করে অনলাইন জুয়াড়িদের গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
আঞ্চলিক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক ফয়সাল বিন আজিজ জানান, গ্রেফতারকৃত খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে নিয়মিত মামলা বিচারাধীন ছিল।