Home বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবাধে ঢুকছে গরু বাংলাদেশে

সীমান্ত দিয়ে অবাধে ঢুকছে গরু বাংলাদেশে

0
0

সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে গরু। করচাইন্দা শহরটি বান্দরবানের নৈশুনছড়ি সীমান্তে অবস্থিত। রাতের আঁধারে গরুর পাল এদেশের সীমানা অতিক্রম করে। রাত যত গভীর হয়, গরুর আওয়াজ ততই তীব্র হয়। তারপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বান্দরবানের নাইক্সনছড়ি এবং কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, রামু ও চাকুলিয়ার মতো বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করা হচ্ছে। এ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে রামু ও নৈশুনছড়ির স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, দস্যু ও ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, কৃষকরা বর্তমানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, প্রচণ্ড গরমের কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচ এবং ঘূর্ণিঝড় লেমালের সময় চরম সতর্কতামূলক পদক্ষেপের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। যাইহোক, কৃষকদের চুরির রাস্তায় তাদের গবাদি পশু আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয়। তারা যুক্তি দিয়েছিল যে 2014 সালে নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তটি এইবারের মতো “উন্মুক্ত” ছিল না।

এই কোরবানির সময়, ভারত থেকে গরু মায়ানমারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না এবং কৃষকরা সরকারের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। লোকসানের ভয়ে তারা এখন সীমান্ত পেরিয়ে দেদারে গরু আনতে মরিয়া।

যদিও সরকারের দাবি, ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন খামার থেকে পশু চোরাচালানের কারণে গবাদিপশুতে নানা রোগ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খামারিরা।

কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে এই প্রাণীগুলি পরীক্ষা করতে ব্যর্থ হলে দেশের পশুসম্পদ শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছর 1.07 বিলিয়ন কোরবানির পশুর প্রয়োজন রয়েছে। যাইহোক, দেশব্যাপী 1,029,000,367 প্রাণী পাওয়া যায়।

এর মানে হল 22,007,800 গবাদি পশু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পাওয়া যায়। চাহিদা বিক্রি না হলে সংখ্যা বাড়তে পারে।

এবার আরও কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। গবাদিপশুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হাজার হাজার গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া হিট স্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। পশুদের ওজনও কমেছে। খাদ্য উৎপাদন খরচ 20-25% বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক চাপে পশু বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। কৃষকদের মধ্যেও উদ্বেগ রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here